রসূলুল্লাহ (সঃ) এর তা'রীফ
দুনিয়ার এই ভাল ও মন্দের খেলার মধ্যে আল্লহ তাঁহার
প্রিয় বান্দা-বান্দি সৎ পথ ধরিয়া চলুক ইহাই কামনা
করেন। তবে বান্দার মধ্যে কে তাহার অনুগত ও কে
তাঁহার অবাধ্য তাহার যাচাই করার প্রয়ােজনে যদিও
অখাটি পথ এবং শয়তান সৃষ্টি হইয়াছে, তবু বান্দা
শয়তানের প্ররােচনায় মন্দ পথ অবলম্বন করুক ইহা
আল্লাহর কাম্য নয়। আর তাহা নয় বলিয়াই তিনি
বান্দাকে সৎ পথে পরিচালনা ও অসৎ পথ হইতে
ফিরাইয়া আনার জন্য অসংখ্য নবী-রাসূলকে দুনিয়াতে
পাঠাইয়াছেন। ইহাদের মধ্যে সর্ব প্রথম নবী হযরত
আদম (আঃ) যিনি একদিকে যেমন প্রথম নবী তেমন
মানব জাতির প্রথম ব্যক্তি। তাঁহার দ্বারাই দুনিয়াতে
মানব-বংশ বিস্তার লাভ করিয়াছে। তিনি যেমন প্রথম
নবী, হযরত মুহাম্মদ (দঃ) তেমনি সর্বশেষ নবী। তাঁহার
পরে দুনিয়াতে আর কেহ নবী বা রাসূল হিসাবে প্রেরিত
হন নাই এবং কিয়ামত পর্যন্ত হইবেন না । ইনি কেবল শেষ নবীই নহেন বরং সমস্ত নবী ও রাসূলদিগের মধ্যে সরদার
এবং সর্বশ্রেষ্ট। তাই তাঁহার দুইটিই পরিচয় এবং দুইটি
পরিচয়ই স্বয়ং আল্লাহ কর্তৃক ঘােষিত হইয়াছে। উহার
একটি হইল, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন” অর্থাৎ রাসূলদিগের
সরদার আর অন্যটি হইল খাতামুন্নাবিয়ীন অর্থাৎ নবীগণের
সর্বশেষ ব্যক্তি। তাঁহার সম্মান এবং মর্যাদা অতুলনীয়।
দুনিয়ার আদি হইতে অন্ত পর্যন্ত কোন মানুষই তাহার সহিত
তুলনীয় নহে। তিনি জগতের সর্বশ্রেষ্ট মানব । ইহার দ্বারা
পরিষ্কার বুঝা যাইতেছে যে, তিনি কেবল মাত্র মানব সৃষ্টির
উছিলা নন বরং যাবতীয় বস্তু সৃষ্টিরই উছিলা তিনি। অর্থাৎ
তাঁহাকে সৃষ্টি না করিলে অন্য কোন কিছুই কোন দিন সৃষ্টির
মুখ দেখিত না।
নবুয়তের দায়িত্ব ও গুরুত্ব হিসাবেও তাহার মর্যাদা সম
অধিক। কেননা যে কোন নবী বা রাসূল আল্লাহর দ্বীন প্রচার
করিতেন কোন একটি রাজ্যে কিংবা বিশেষ কোন সীমিত
এলাকায়। পক্ষান্তরে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ)
আল্লাহর ধর্ম প্রচার করিতে আসিয়াছিলেন সারা জগতময়।
এই জন্যই তাহাকে আখ্যা দেওয়া হইয়াছে বিশ্বনবী। সমগ্র
মনিবকুলে তিনি আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়।
আখেরী নবী (সঃ) এর এক অনন্য বৈশিষ্ট হলাে আল্ল-হ্
তায়ালা তাঁহার মাধ্যমেই সৃষ্টির সূচনা করিয়াছেন। যদিও
আদম (আঃ) কে এই পৃথিবীতে সর্বপ্রথম পাঠাইয়াছেন
কিন্তু সৃষ্টি করিয়াছেন সর্বপ্রথম আমাদের প্রিয় নবী
মুহাম্মদ (সঃ) কেই। বর্ণনায় উল্লেখ রহিয়াছে যখন
আল্ল-হ্ পাকের মাখ্লুকাত পয়দার ইচ্ছা জাগিল, তখন
আল্লাহ্ রাসুল (সাঃ) এর রূহ মােবারক সৃষ্টি করিলেন ।
আল্প-হ পাক তাহার দ্বারা দ্বীনি বিধানসমূহ পরিপূর্ণ করতঃ
নবী রাসূলদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট আসন দান করিবেন
উদ্দেশ্যেই সকল নবী ও রাসুলদের শেষে তাহাকে
দুনিয়াতে প্রেরণ করেন।
Post Tags: নবীজির চেহারা মোবারক, নবীজির উচ্চতা, রাসুল সাঃ এর স্ত্রীদের নাম, রাসুল সাঃ এর সুন্দর্য, হযরত মুহাম্মদ সঃ এর ছবি, রাসুল (সাঃ) এর জীবনী,
إرسال تعليق