ছেলে মেয়ে লাভের উপায়
(১) যে ব্যক্তি জীবনে কোন সন্তান সন্ততি লাভ করে নাই সেই ব্যক্তি প্রত্যেক

ফরজ নামাযের পর এই আয়াত ৩ বার পাঠ করিবে। এই আমল করিতে থাকিলে আল্লাহর

ফজলে সন্তান লাভ করিবে।
রব্বিলা-তাযার্নী ফার্দাও ওয়া আংতা খয়রুল্
ওয়ারিছীন্। রব্বি হাব্‌লী মিল্লা দুংকা যুর্রিয়াতাং
তাইইবাতাং ওয়া ইন্নাকা সামী উদ্ দু’আ” ।


অর্থঃ ১। হে আমার পালনকর্তা। আমাকে একাকী
(নিঃসন্তান) অবস্থায় রাখিওনা, আর তুমিই শ্রেষ্ঠতম
উত্তরাধিকারী। 

২। হে আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট হইতে আমাকে পবিত্র সন্তান দান কর, 

অবশ্য তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।

শানে নুযুলঃ বৃদ্ধকাল পর্যন্ত ছেলে মেয়ে না হওয়ায়
হযরত যাকারিয়া (আঃ) আল্ল-হ্ তা'আলার নিকট এই
দু'আ করিয়া হযরত ইয়াহ্ ইয়া (আঃ) কে পুত্র রূপে লাভ করিয়াছিলেন।

(২)  মুরগীর দুইটি ডিম সিদ্ধ করিয়া খোসা ছাড়াইয়া একটি উপর নিম্নোক্ত ১নং আয়াত লিখিবে, অপরটির উপর ২নং আয়াত লিখিবে; অতঃপর ১নং আয়াত লিখিত ডিমটি স্বামী খাইবে। আর ২নং আয়াত লিখিত ডিমটি স্ত্রী খাইবে। এইরূপ ৪০ দিন পর্যন্ত উভয়ে প্রত্যহ দুইটি করিয়া ডিম খাইবে আল্ল-হর ফজলে স্ত্রী গর্ভবর্তী হইবে।


১নং আয়াতঃ “ওয়াস্ ছমা-য়া বানাইনা-হা-বিআয়িদিওঁ ওয়া ইন্না-লামু'সিউন্‌” ।


অর্থঃ ১। এবং আকাশকে আমি শক্তি দ্বারা সৃষ্টি করিয়াছি অবশ্য আমি প্রসারণকারী।


২নং আয়াতঃ “ওয়াল্ আর্দা ফারাশ্না-হা-ফা নি'মাল্
মা-হি:দুন্” ।


অর্থঃ ২। এবং দুনিয়াকে আমি বিস্তৃত করিয়া দিয়াছি
বস্তুতঃ আমি কিরূপ ভাল বিস্তারকারী ।


শানে নুযুলঃ হযরত রসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধবাদী কাফের-অবিশ্বাসীদিগকে সতর্ক করার জন্য এই আয়াত দ্বারা আল্ল-হ তা'আলা আসমান ও জমিনের সৃষ্টি বৈচিত্রের প্রতি ইঙ্গিত করিয়াছেন। তিনি ইচ্ছা করিলে যে কোন বিষয়ে বাড়াইতে ও বিস্তৃত করিতে পারেন, সৃষ্টি করা তাঁহার পক্ষে খুব সহজ কাজ। এই আয়াতে আল্ল-হ্ তা'আলার সৃষ্টি ও বিস্তৃত করার ক্ষমতা ও শক্তির কথা বর্ণনা করা হইয়াছে বলিয়া ইহার আমল দ্বারা উপরোক্ত ফজিলত লাভ হয়।


Post a Comment

Previous Post Next Post