সর্ব প্রকার রােগ হইতে আরােগ্য লাভের তদবীর
(আয়াত শিফা)

(১) “ওয়া ইয়াশফি ছুদূরা ক্বওমীম্ মুহমিনীন্” (সুরা তওবা, ১৪ আয়াতের অংশ, পারা ১০)
অর্থঃ এবং আল্ল-হ্ তা'আলা মুমিনদের অন্তর আরােগ্য
করিবেন।
ওয়া শিফায়ূ'ল্ লিমা ফীচ্ছুদূর্” (সুরা ইউনুস , আয়াত
৫৭, পারা ১১)

অর্থঃ এবং ইহাতে তােমাদের আন্তরিক রােগসমূহ
আরােগ্য করার ঔষধ রহিয়াছে।

ইয়াখ্ রুজুমিন্ বুতূনিহা- শারা-বুন্-মুখ্ তালিফুন্
আলওয়ানুহু ফীহি শিফা-উল লিন্না-ছি” (সুরা নাহল,
আয়াত ৬৯, পারা ১৪)
অর্থঃ ইহাতে (মৌমাছিদের) উদর হইতে নানা রঙের

পানীয় (মধু) নির্গত হয়, উহার মধ্যে মানুষের জন্য রােগ
আরােগ্যকারী গুণ রহিয়াছে।


ওয়া নুনায্-যিলু মিনাল্ কুর'আনি মা-হুয়া শিফাউ ওয়া
রহ্ঃমাতুল্ লিল্ মুহমিনীন” (সুরা ইস্রাঈল, আয়াত ৮২,
পারা ১৫)

অর্থঃ আমি কুরআন যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি, তাহা
মুমিনদের জন্য (মনের রােগসমূহের) আরােগ্যকারী ও
রহমত স্বরূপ।

ওয়া ইইয়া মারিজতু ফাহুয়া ইয়াশফীন” (সুরা শােয়ারা,
আয়াত ৮০, পারা ১৯)

অর্থঃ এবং যখন আমি পীড়িত হই, তখন তিনিই আমাকে
আরােগ্য করেন।

কুল হুয়া লিল্লাযীনা আ-মানু হুদা ও ওয়াশিফা” (সুরা
হ:মীম, আয়াত ৪৪, পারা ২৪)
অর্থঃ আপনি বলিয়া দিন উহা (কুরআন) যাহারা, ঈমান
আনিয়াছে তাহাদের জন্য পথ প্রদর্শক ও পরিত্রাণকারী।

(2) “রব্বি ‘আন্নী মাস্সানিয়াদ্ব্ দ্বুররু ওয়া আংতা আর হামুর রহিঃমীন্”।

অর্থঃ হে প্রভু আমাকে রােগ যন্ত্রণায় ধরিয়াছে এবং তুমি
সর্বাপেক্ষা দয়ালু (হযরত আইয়ুব আঃ)।
ফজিলতঃ কঠিন রােগ ও বালা মুসিবতের সময় এই দু'আ
বেশী করিয়া পাঠ করিলে রােগমুক্তি ও বালা মুসিবত দুর
হইয়া যায় ।
হযরত আইয়ুব নবী (আঃ) সুদীর্ঘ ১৯ বৎসর যাবৎ গলিত
কুষ্ঠ রােগে ভূগিয়া অস্থি সার হইয়া গিয়াছিলেন এবং
সমস্ত ধনসম্পতি হারাইয়া দরিদ্রতার চরমসীমায়
পৌছিয়াছিলেন। অবশেষে তিনি আল্লহর নিকট এই
দু'আ পাঠ করিয়া রােগ মুক্তি লাভ করেন ও পূর্বস্বাস্থ্য,
ধন-সম্পদ পুনঃলাভ করেন। হযরত আইয়ুব (আঃ) এর
কঠোর ধৈৰ্য্য ও আল্লহর উপর নির্ভরশীলতা মুসলিম
বিশ্বের ইতিহাসে এবং অপূর্ব ঘটনা।

(৩)“ইইয়া আল্ল-হুল্ মাহমূদু ফী কুল্লি ফি'য়ালিহি ইয়া
আল্ল-হ”।
অর্থঃ হে আল্ল-হ! তুমি প্রত্যেক কাজে প্রশংসনীয় হে
আল্ল-হ।

ফজিলতঃ (১) কিতাবে বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি শুক্রবার
জুম্মার নামাযের পূর্বে ওযু করিয়া একা ঘরে কেবলামুখী
হইয়া ২০০ বার এই ইসমে পাক পাঠ করিবে আল্লহর
ফজলে সে রােগ মুক্ত হইবে।

(২) ইমাম শাহাবুদ্দীন সােহরাওয়ার্দী (রাঃ) বলিয়াছেন
যে, যে রােগীর আশা ডাক্তার, কবিরাজগণ ছাড়িয়া
দিয়াছেন এরূপ রােগী জুম্মার নামাযের পূর্বে ঐ আমল
করিলে রােগ আরােগ্য হইবে এবং তাহার মনের বাসনা
অতি সহজে পূর্ণ হইবে।

রোগ মুক্তির দোয়া আরবি, আল্লাহর কাছে রোগ মুক্তির বিভিন্ন দোয়া ও আমল, পেটের রোগ থেকে মুক্তির দোয়া, মা বাবার রোগ মুক্তির দোয়া,  অন্যের জন্য রোগ মুক্তির দোয়া, সূরা শিফা তেলাওয়াত, ইয়া শাফি আল আমরাজ অর্থ, রোগ মুক্তির প্রার্থনা


 

Post a Comment

Previous Post Next Post