বিপদে পড়লে মহানবী সা এই ৩টি দোয়া পাঠ করতে বলেছেন, কঠিন বিপদমুক্তির দু’আ


(১) “হাস্-বুনাল্লাহু ওয়া নি'য়মাল্ ওয়াকীল্ নি'য়মাল্ মাওলা,
ওয়া নি’য়মাল্ নাসীর্” (সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৭৩, পারা ৪০)


অর্থঃ আল্ল-হ্‌ই আমাদের জন্য যথেষ্ট ও উত্তম
কার্যনির্বাহক।


ফজিলতঃ যে কোন কঠিন বিপদের সময় ফজর অথবা
মাগরিবের নামাজের পর এই দু'আ ১০০০ বার পাঠ
করিলে বিপদ কাটিয়া যায়।
প্রতিদিন এই আয়াত বেশী করিয়া পাঠ করিলে বিপদমুক্ত
থাকা যায় ও সর্ব কাজ সহজ হয় এবং কৃতকার্য হওয়া যায় ।


(২)“ফাল্ল-হু খয়রুন্ হা-ফিযাও ওয়া হুয়া আর হামুর্
রহি:মীন্”
অর্থঃ সুতরাং আল্ল-হ্‌ই সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষক এবং তিনিই
সর্বাপেক্ষা অধিকতর দয়ালু।


ফজিলতঃ দুশমন কিংবা অন্য কোন বিপদের ভয় হইলে
প্রত্যেহ বহুবার এই আয়াত পাঠ করিলে আল্ল-হর ফজলে
বিপদ ও ভয় দূর হইয়া যাইবে।


(৩) “লা-ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নী কুংতু মিনায্ জ্ব-লিমীন”
অর্থঃ (হে আল্ল-হ্) তুমি ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই,
তুমি পবিত্রতম, নিশ্চয়ই আমি যালেমগণের
(অত্যাচারীদের) অন্তর্ভূক্ত ছিলাম ।


ফজিলতঃ ১। কোন কঠিন বিপদ, মামলা-মোকাদ্দমা ও
সংকটের সময় এই দু'আ সোয়া লক্ষ বার পাঠ করিলে
বিপদ-আপদ দুর হইয়া যায় এবং মামলা মোকাদ্দমায়
হক ফয়সালা হয়। ২। প্রত্যেহ ১০০ বার করিয়া পড়িলে
বিপদ কাটিয়া যায়। হযরত ইউনুস (আঃ) যখন মাছের
পেটের ভিতর ছিলেন তখন এই আয়াতটি তিনি
সর্বসময়ই পাঠ করিতেন। এই আমলের কারণেই আল্ল-হ্
তাঁকে ক্ষমা করিয়া দেন ও মাছের পেটের অন্ধকার হইতে
মুক্তি দেন।


Post Tags: মামলা থেকে মুক্তির দোয়া, ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া, শত্রু থেকে মুক্তির দোয়া, জেল থেকে মুক্তির দোয়া, বিপদ থেকে মুক্তির মন্ত্র, বিপদে পড়লে মহানবী সা এই ৩টি দোয়া পাঠ করতে বলেছেন, মুসিবতের দোয়া, বিপদের দোয়া ইউনুস

Post a Comment

Previous Post Next Post