সুরা হাসরের শেষাংশের ফজিলত

আয়ুজুবিল্লাহিচ্ছামীয়্যিল

আলীম মিনাশ্ শাইত্বানির

রাজীম, “হুয়াল্লা-হুল্লাজী লা-ইলাহা ইল্লা-হু 'আলিমুল

গাইবি ওয়াস্ শাহা-দাতি হুয়ার রহমানুর রহীম্।

হুয়াল্লাহুল্লাজী লা-ইলাহা ইল্লালা-হু আল্ মালিকুল্ কুদ্দুছুছ্

ছালামুল্ মু'হ্-মিনুল্ মুহাইমিনুল আজীজুল্ জব্বা-রূল্

মুতাকাব্বিরু

সুবহা-নাল্লাহি

আম্মা-ইউশ্-রিকুন্।

হুয়াল্লাহুল্ খ-লিকুল বা-রিয়ুল্ মুছাব্বিরু লাহুল আছ্মা-

উল্ হুছ্‌না। ইউছাব্বিহু লাহু মা- ফিচ্ছামা ওয়া-তি ওয়াল্

আর্দি ওয়াহুয়াল্ আজীজুল্ হাকীম্‌” ।


অর্থঃ
তিনিই আল্ল-হ্, তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নাই,

তিনি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য বিষয়ে জ্ঞানী। তিনি অত্যন্ত

দয়ালু ও অনুগ্রহকারী বটেন। তিনিই আল্ল-হ্, তিনি ছাড়া

অন্য কোন উপাস্য নাই, তিনি পবিত্রতম শাহানশাহ শান্তি দাতা, নিরাপত্তা প্রদানকারী (রক্ষক) মহাশক্তিশালী,

প্রভাবশালী মহিমামহ ও অতিশয় সম্মানিত। তাঁহার

সহিত তাহারা (মুশরিকরা) সে অংশী স্থির করে। তিনি

তাহা হইতে পবিত্র। তা তিনি আল্ল-হ্ প্রত্যেক বস্তুর

সৃষ্টিকর্তা, নির্মাতা, আকৃতিদাতা, তাঁহার জন্য রহিয়াছে

উত্তম নামসমূহ আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি বজ্রমাত্রই তাঁহার

পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছে। তিনি প্রবল পরাক্রান্ত ও

বিজ্ঞানময়।

ফজিলতঃ এই আয়াতসমূহ প্রত্যেহ সকালে পাঠ করিলে

৭০ হাজার ফেরেশ্তা সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁহার জন্য দু'আ ও

মাগ্‌ফিরাত কামনা করেন এবং সন্ধায় পাঠ করিলে সকাল

পর্যন্ত দু’আ ও মাগফিরাত কামনা করেন। ফলে সকল

প্রকার ফায়দা হাসিল হয়। আর যদি এই সময় সে মারা

যায় তবে শহীদী দরজা পায়। ইহা একটি উৎকৃষ্ট আমল।

৩ বার “আয়ু’যুবিল্লাহিচ্ছামিয়্যাল্ আলীম্ মিনাশ্

শয়ত্বানির্ রাজীম্‌” পাঠ করিয়া আরম্ভ করিতে হয়।


Post a Comment

Previous Post Next Post