(১) “কুলিল্লা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তুহতীল মুল্‌কা মাং
তাশা-উ। ওয়াতাংযিউল মুল্‌কা মিম্মান তাশা-উ ওয়া
তুই:য়জ্জু মাং তাশা-উ ওয়া তুযিল্লু মাং তাশা-উ
বিয়াদিকাল খয়ীর। ইন্নাকা আলা-কুল্লি শাইয়িং কাদীর”।


(২) “তুলিজুল্লাইলা ফিন্ নাহারি ওয়া তুলিজুন নাহারা-
ফিল্ লাইলি ওয়া তুখরিজুল হাইয়া মিনাল্ মাইয়িতি ওয়া
তুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল্ হাইয়ি ওয়া তারযুকু মাং
তাশা-উ বিগাইরি হি:ছা-ব”। (সুরা আল ইমরান, আয়াত-২৬, ২৭)

অর্থঃ (১) হে মুহাম্মদ (সাঃ) বল, হে আল্ল-হ! তুমি
সমস্ত রাজ্যের মালিক, তুমি যাহাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান কর
এবং তুমি যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা কর রাজত্ব কাড়িয়া
লও এবং যাহাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর এবং যাহাকে
ইচ্ছা অপদস্ত কর। তােমার হস্তেই সকল মঙ্গল এবং
অবশ্যই তুমি সকল বিষয়ের উপর সর্বশক্তিমান।

(২) তুমি রাত্রিকে দিনে পরিণত কর এবং দিনকে রাত্রিতে
পরিণত কর; এবং মৃত হইতে জীবিতকে বাহির কর এবং
জীবিত হইতে মৃতকে বাহির কর। এবং যাহাকে ইচ্ছা
পরিমিত রিযিক দান কর।

ফজিলতঃ ১। এই দুইটি আয়াত ফজর ও মাগরিবের
নামাজের পর ৭ বার পাঠ করিলে আল্লহর রহমতে আয়
বৃদ্ধি পাইবে। ঋণ পরিশােধ হইবে এবং শত্রু দমন হইবে।
২। যে ব্যক্তি প্রতিদিন ফরজ নামাযের পর ও
শয়নকালে ৭ বার পাঠ করিবে আল্লহর রহমতে তার
আয় বৃদ্ধি পাইবে, ঋণ, পরিশােধ ভাগ্যের প্রসন্নতা দান
করিবেন এবং দরিদ্রতা দুর করিবেন।

* হযরত মা'আজ (রাঃ) রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট
উপস্থিত হইয়া স্বীয় ঋণের বিষয় উল্লেখ করিলে
তিনি তাঁহাকে এই আয়াত ২টি পাঠ করিতে আদেশ দেন।

* হযরত ইবনে আনাস (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন যে,
ওহুদ পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকিলেও ইহার আমল
দ্বারা ঋণ পরিশােধ হইবে ইনশাল্লাহ্।

(৩) “আলু-হু লাত্বীফুম্ বিই:বা-দিহী ইয়ারযুকু মাইয়াশা-ও
ওয়া হুয়াল্ ক্কাবিয়্যুল আযীয”

অর্থঃ আল্লহ তা'আলা তাঁহার বান্দাদের প্রতি অতি
দয়ালু, তিনি যাহাকে চাহেন রিযিক প্রধান করেন। তিনি শক্তিশালী ও বিজয়ী।

 
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর অধিক
পরিমানে উপরােক্ত আয়াত শরীফ পাঠ করিবে তাহার
রুযী রােজগার বৃদ্ধি পাইবে ও অভাব অনটন দূর হইবে।
উল্লেখিত ইসমে শরীফের (আল্লাহর পবিত্র নাম) বরকতে
সকল প্রকার মসীবত হইতে রক্ষা পাইবে ইনশাল্লাহ্।


(৪) “আল-হুম্মাক ফেনী বিহালালিকা আনহারামিকা ওয়া
আগনিনী বিফাদ্বলিকা 'আম্মান সিওয়াক”

অর্থঃ হে আলু-হ! তুমি আমাকে হালাল বস্তু দান করিয়া
হারাম হইতে রক্ষা কর এবং নিজ দয়ায় আমাকে অন্যের
মুখাপেক্ষী করিও না ।


ফজিলতঃ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে।
১। যে ব্যক্তি প্রতি শুক্রবারে এই দু'আ ৭০ বার পাঠ
করিবে অল্পদিনের মধ্যে আল্লহ তাহাকে ধনী ও
সৌভাগ্যশালী করিয়া দিবেন ।
২। হযরত আলী (রাঃ) এই দু'আ সম্বন্ধে বলিয়াছেন যে,
শুক্রবার দিন জুম্মার নামাজের আগে ও পরে ১০০ বার
দরূদ শরীফ পাঠ করিয়া এই দু’আ ৫৭০ বার পাঠ
করিলে আল্লহর ফজলে পাহাড় পরিমান ঋণ থাকিলেও
তাহা অল্পদিনের মধ্যে পরিশােধ হইয়া যাইবে।

(৫ )“লা-হাওলা ওয়া-লা-কুওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হিল
আলিয়্যিল আযীম্‌”

অর্থঃ সর্বোচ্চ মহা শক্তিশালী আল্লহর সাহায্য ছাড়া কোন
কাজ করার শক্তি কাহারও নাই।


ফজিলতঃ ১। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলিয়াছেন যে, এই
কালিমা অধিক পরিমানে পাঠ কর। ইহা বিপদের ৯৯টি
দরজা বন্ধ করে। তিনি আরও বলিয়াছেন- যে ব্যক্তি
প্রত্যেহ এই কালিমা ১০০ বার পাঠ করিবে সে কখনাে
গরীব থাকিবে না।


২। বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে যে- ইহা বেহেস্তের ধন
ভান্ডারের একটি ভান্ডার। তিরমীজি শরীফে বর্ণিত আছে।
যে- ইহা বেহেস্তের একটি দরজা।


৩। এই কালিমা রিযিক বৃদ্ধি, বাসনা পূর্ণ হওয়া, ধন-
সম্পত্তি লাভ, উচ্চ সম্মান লাভ হইয়া, বিপদ-আপদ
হইতে উদ্ধার পাওয়া ও জ্বিন পরী বিতাড়নের জন্য বিশেষ
কার্যকরী।


৪। হযরত শাহ আব্দুল আযীয মােহাদ্দেছে দেহলভী (রঃ)
বলিয়াছেন- যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে প্রত্যেহ ১০০ বার ইহা
পাঠ করিবে সে কখনও গরীব হইবে না। (ইহা বড় পীর
সাহেবের আমল)


৫। যে ব্যক্তি প্রত্যেহ এই কালিমা ১০০০ বার পাঠ
করিবে। মানুষ তাঁহার বাধ্যগত থাকিবে এবং
নিকট সম্মান পাইবে


(৬) “ইয়া মুসাব্বিবাল আসবাবি সাব্বিব


অর্থঃ হে সকল অভাবের উপায়কারী (আল্ল-হ) তুমি
আমার (অভাব মােচনের) উপায় করিয়া দাও।

কথিত আছে যে, হযরত মাওলানা আব্দুল আউয়াল
জোনপুরী (রহঃ) বলিয়াছেন যে আমার শিক্ষক হযরত
ও মাওলানা আব্দুল হুর হাক্কানী সাহেব বলিয়াছেন ‘আমি
ইহা আমল করিয়া বিশেষ ফল পাইয়াছি।
ফজিলতঃ এই আয়াতসমূহ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর
১৫ বার পাঠ করিলে কখনও খালি হাত থাকিবে না ।

(৭) “ওয়া লাক্বাদ মাক্কান্নাকুম্ ফীল্ আরদ্ধি ওয়া জাআলনা
লাকুম ফীহা মা’আয়িশা ক্কালীলাম্ মা তাশকুরুন


অর্থঃ এবং অবশ্য আমি তােমাদিগকে জগতে স্থিতিশীল
করিয়াছি এবং ইহাতে তােমাদের জীবিকার সুব্যবস্থা
করিয়া দিয়াছি। তােমরা অত্যন্ত কম পরিমানে কৃতজ্ঞতা
স্বীকার করিয়া থাক।
ফজিলতঃ এই আয়াত দ্বারা আল্ল-হ মানুষকে স্মরণ
করাইয়া দিয়াছেন যে, মানুষ আল্লহর ইচছা ও অনুগ্রহে
রিযিক পাইয়া থাকে এবং তিনিই জগতে মানুষের জন্য
জীবিকার ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন। এই আয়াতে তাঁহার
রিযিক দেওয়ার শক্তি ও অনুগ্রহের কথা বর্ণিত আছে।
সেই জন্য তাঁহার বরকতে রিযিক বৃদ্ধি পায়। এই
আয়াতের আর একটি ফযীলত এই যে, জুম্মার নামাজের
পর ঘরে বা দোকানে লিখিয়া রাখিতে ধন সম্পত্তি ও
রিযিক বৃদ্ধি পায়।

Tag: রিজিক বৃদ্ধির ৭ টি আমল, রিজিক বৃদ্ধির সূরা, গায়েবি রিজিক, রিজিকের ব্যবস্থা, মানুষের হায়াত, কোন কাজ করলে রুজি বৃদ্ধি পায়, গায়েবী রুজির আমল, আত্নীয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করলে রিযিক ও হায়াত বৃদ্ধি পায়, আর্থিক উন্নতির দোয়া, সালাতু কাজায়িদ দাঈন বা ঋণ পরিশোধের নামাজ, দেনা পরিশোধের উপায়, ঋণ পরিশোধের হাদিস, ঋণ নিয়ে হাদিস, আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক।, যে দোয়া পড়লে পাহাড় সমান ঋণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ, ঋণ পরিশোধের জাবেদা, আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা,


Post a Comment

Previous Post Next Post