তাআউয্ (আশ্রয় প্রার্থনা)
উচ্চারণঃ আয়ুযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম্।
অর্থঃ আমি অভিশপ্ত শয়তান হইতে করুণাময় আল্লাহর
নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি।
ফযীলতঃ তাআউয' কুরআন শরীফের অংশ নহে। তবে
তাহার নির্দেশনা রহিয়াছে। বর্ণিত আছে যে হযরত
জিব্রাঈল (আঃ) হযরত রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি
অসাল্লামকে সর্বপ্রথম ইহা শিখাইয়া দেন। ইহা দ্বারা
মানব জাতির পরম শত্রু অভিশপ্ত শয়তানের যাবতীয়
অনিষ্ট হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয় বলিয়া ইহাকে
তাআউয্ (আশ্রয় প্রার্থনা) বলে আল্লহ তা'আলা
বলিয়াছেন “তুমি যখন কুরআন পাঠ কর, তখন অভিশপ্ত
শয়তান হইতে আল্ল-হর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিও।”
শয়তান এতই শক্তিশালী যে, আল্প-হ্ তা'আলার সাহায্য
ছাড়া তাহার চক্রান্ত হইতে বাঁচিয়া থাকা দুর্বল মানুষের
পক্ষে অসম্ভব। আল্ল-হ্ তা'আলা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ
করিয়াছেন “নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।
শয়তান সর্বদা মানুষকে ভুল পথে, অন্যায়ের পথে এবং
পাপ ও অনিষ্টের দিকে টানিয়া নিতে চায়। শয়তানের
অনিষ্ট হইতে নিরাপত্তা লাভের জন্য আলু-হ্ তা'আলার
নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা আবশ্যক। সেই প্রার্থনার
জন্যই তাআউষ্য সর্বোত্তম ও সংক্ষিপ্ত। হযরত হাসান
বসরী (রহঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি একাগ্র চিত্তে আল্লহর
নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে তিনি তাহার ও শয়তানের
মধ্যে একশত পর্দার আবরণ ফেলিয়া দেন। তা'আউয্
পাঠ করিলে শয়তান দুর হইয়া যায় এবং যাবতীয় অনিষ্ট
হইতে আল্ল-হ্ তা'আলা রক্ষা করেন। হযরত নূহ (আঃ)
পুত্রের জন্য দু'আ করিবার সময়, হযরত ইউসুফ (আঃ)
জুলেখার ষড়যন্ত্রের সময়, হযরত মূসা (আঃ) গরু যবেহ
ব্যাপারে এবং হযরত মরিয়ম জিব্রাঈল (আঃ) কে পর
পুরুষ হিসাবে আগমন করিতে দেখিয়া তা'আউযূ পাঠ
করিয়া বিশেষ ফল পাইয়াছিলেন।

Post Tags: আল্লাহ তুমি সহায় হও, হাদিসে বর্ণিত দোয়া সমূহ, আল্লাহ সেফা দান করুন, হে আমার প্রতিপালক, কোরআনে উল্লেখিত দোয়া সমূহ, Http আল্লাহ, কলবের দোয়া, হেদায়েতের দোয়া, 

Post a Comment

Previous Post Next Post