৪৭ টি দৈনিক প্রয়োজনীয় দু’আ

১। খাওয়ার শুরুতেঃ “বিস্‌মিল্লা-হি ওয়া আলা বারা
কাতিল্লাহ্”
২। খাওয়ার পরঃ “আলহামদু লিল্লাহিল্লাজী আত্ব
আয়া'মানা ওয়া সাকা না-ওয়া জা:য়াল্না-মিনাল
মুস্‌লিমীন” পাঠ করিবে ।
৩। অজুর দু’আঃ “বিস্‌মিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম্
ওয়াল্ হামদুলিল্লহি আলা দীনিল্ ইসলামি আল্ ইসলামু
হাক্কুন ওয়াল্ কুফ্রো বাতিলুন্ আল্ ইসলামু নূরুন ওয়াল্
কুফ্রো জুলুমাত” ।
৪। ফরজ গোসলের দু’আঃ “নাওয়াই:তুল গুসল্যা
লিরফয়ি’ল্ জানা-বাহ্”।
৫। পায়খানা প্রস্রাবের দু’আঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্নী
আয়ূ’জুবিকা মিনাল্ খুব্‌ছি ওয়াল্ খাবায়িছ্‌” ।
পায়খানা প্রস্রাব হইতে বাহির হইয়া পড়িতে হইবে-
গুফরা-নাকা আলহামদু লিল্লা-হিল্লাজী আজ্হাবা
আন্নিল আযা ওয়া আ-ফা-নী” ।
৬। সহবাসের দু'আঃ “বিসমিল্লা-হি আল্ল-হুম্মা জান্নিবনাশ্ শয়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শয়ত্বানা
মা'রাজাক্বতানা”।
৭। কোন সুসংবাদ শুনিলে বলিবে-“আল্‌হামদুলিল্লাহ্”।
৮। ঘুম হইতে জাগিয়া বলিবে- “লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু” অথবা
আল্ল-হু আকবার”। অতঃপর বলিবে।
আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাজী আহ্ ইয়ানা-বায়দামা-আমা-
তানা-ওয়া ইলাই:হিঃনুশুর”।
৯। আশ্চর্যজনক কিছু ঘটিতেঃ দেখিলে বা শুনিলে
বলিবে- “সুবহানাল্লাহ্”।
১০। কোন অবাঞ্চিত কিছু দেখিলে বা শুনিলে বলিবে-
নায়ু’জুবিল্লাহ্” ৷
১১। কোন কিছু জবেহ করার সময় বলিবে “বিসমিল্লা-হি
আল্ল-হু আকবার”।
১২। নীচের দিকে নামিতে “সুবহান-ল্লাহ্” ও উপরের
দিকে উঠিতে “আল্ল-হু আক্বার” পড়িবে।
১৩। কোন রোগী দেখিতে গেলে- “লা-বা-ছা তাহুরূন্
ইন্‌শাল্লাহ্” পাঠ করিবে।
১৪। যে কোন যান আরোহন কালের দু’আঃ (ক)
বিসমিল্লা-হি মাজ্রেহা ওয়া মুরছা-হা-ইন্না রব্বীলা
গাফুরুর রহীম্‌”। (খ) “সুবহানা-ল্লাজী ছখ্খারা লানা-
হাজা ওয়ামা-কুন্না-লাহু মুক্‌রিনিন ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা
লামুংকলিবুন” ইহা পাঠে যানবাহন চলাকালীন দূর্ঘটনা বা
বিপদ আপদ হইতে রক্ষা পাওয়া যায়।
১৫। বৃষ্টি হওয়ার জন্যঃ “আল্ল-হুম্মা আছ্ক্বিনা- আল্ল-
হুম্মা আছ্‌ফিনা-আল্ল-হুম্মা আগ্‌ছিনা” পাঠ করিবে। সুরা
দোখান” পাঠ করিলেও ফল পাওয়া যায় ।
১৬। মিছওয়াক করিবার পূর্বে “আল্ল-হুম্মা বারিক্-লী
ফিহি:” পড়িবে ।
১৭। জানমাল হেফাজতের দোয়াঃ “বিস্‌মিল্লা-হি ‘আলা
নাফ্‌ছী ওয়াহ্‌লি ওয়ামালী”।
১৮। সফরে থাকাকালীন “আয়ূজুবি কালিমা-তিল্লা-হি
তা-য়াম্মাতি মিং শাররী মা খলাক্বা” পাঠ করিলে কোন
কিছু অনিষ্ট করিতে পারিবেনা।
১৯। মসজিদ দেখিলেঃ “আল্ল-হুম্মাগ ফিরলী যুনুবী ওয়া
খাতায়ী ওয়া আমাদী” বলিবে।
২০। মজিদে ঢুকিবার দু’আঃ ডান পা প্রথমে ফেলিয়া
আল্ল-হুম্মাফ তালী আবওয়া-বা রহমাতিক” পাঠ
করিতে হইবে।

২১। মসজিদ হইতে বাহির হইবার সময়ঃ বাম পা প্রথমে
ফেলিয়া “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্ আলুকা মিং ফাদলিক
পড়িতে হয়।
২২। ঘর হইতে বাহির হওয়ার সময় “বিসমিল্লা-হি
তাওয়াক্কালতু আলাল্লহ্” পাঠ করিলে আল্ল-হ্ তা'আলা
স্বয়ং তার হিফাজত করেন।
২৩। ভুমিকম্পে ও অন্যান্য বিপদের সময় “লা-ইলাহা
ইল্লা আংতা সুব্হানাকা ইন্নী কুংতু মিনাজ্জুয়ালিমীন
পড়িবে।
২৪। রাগের সময় পড়িবে “আয়’জু বিল্লাহি মিনাশ্
শাইত্বানির রাযীম্‌”। তাহলে রাগ কমিয়া যাইবে। কুকুরের
ডাক শুনিয়াও ইহা পাঠ করিবে। কাহারও মধ্যে কোন
ঝগড়া বিবাদ লাগিলে ইহা পাঠ করিলে বিবাদ থামিয়া
যাইবে। (ইহা বহু পরীক্ষিত)
২৫। মা-বাবার জন্য “রব্বীর হাম্‌হুমা কামা রব্বাইয়ানী
ছগীরা” পড়িয়া আল্লাহর নিকট দু'আ চাইতে হইবে।
২৬। ৭ দোযখ হইতে নাজাত পাওয়ার জন্যঃ বাদ ফজর ও
বাদ মাগরীব ৭ বার করিয়া পড়িতে হইবে “আল্ল-হুম্মা
আজিৰ্নী মিনান্নার” ।
২৭। ৮ বেহেস্তে পাওয়ার জন্যঃ বাদ ফজর ও বাদ মাগরীব
নামাজ এ ৮ বার করিয়া পড়িতে হইবে “আল্ল-হুম্মা ইন্নী
আছ্ আলুকা রিজাকা ওয়াল্ জান্নাহ্”
২৮। কোন কিছু পান করাইলে বা কিছু দিলে অথবা কেহ
কোন উপকার করিলে বলিবে “যাঝাকাল্লা-হু খায়রা”।
২৯। মোসাফাহ্ করার সময় বলিবেঃ “ইয়াগফিরুল্লা-হু
লানা-ওলাকুম” ।
৩০। সূর্য গ্রহণ চন্দ্ৰ গ্রহণ লাগিলে “আল্ল-হু আকবার” বেশী
করে পাঠ করিতে হবে।
৩১। যে ব্যক্তি “ইয়া গাফ্ফারুগ ইগ্ ফিরলী জুনুবী” বাদ
জুম্মা ১০০ বার পাঠ করিবে সে যাহা বলিবে তাহাই হইবে।
৩২। দাওয়াত খাওয়ার পর “আল্ল-হুম্মা আত্‌ য়িম মান্
আত্ ওয়ামানী ওয়াছকি মান্ ছাক্বা-নী” পড়িবে।
৩৩। মন খারাপ থাকিলেঃ “আলহামদুলিল্লা-হি আলা
কুল্লি হাল্” বেশী করিয়া পাঠ করিলে আল্ল-হর ফজলে
মন ভাল হইয়া যাইবে।
৩৪ । ফল খাইলে পড়িবে “আল্ল-হুম্মা বা-রিক লানা- ফী
ছমা রিনা- ও বারিক্ লানা- ফী মাদীনাতিনা- ওয়া বারিক্
লানা ফী ক্ব-য়িনা ও বারিক্ লানা ফি মাদীনাতিনা- ওয়া বারিক্ লানা ফী-য়িনা ও বারিক্ লানা ফি মুদ্দিনা” ।
৩৫। হারানো বস্ত লাভঃ “ইন্না লিল্লা-হি ওয়াইন্না ইলাইহি
রাজিউন্‌" বেশী ভাবে পড়িলে হারানো জিনিস পাওয়া
যায়। মুসলমানের মৃত্যু সংবাদে ইহা পড়িবে। “ইয়া
জামিউ” পাঠ করিলেও সেই বস্তুর খোজ মিলে।
৩৬। হাঁচি দিয়া বলিবে -“আলহামদুলিল্লা-হ্” বলিবে ও-
শুনিয়া বলিবে- “ইয়ার হামুকাল্লা-হ্
৩৭। ছওয়াল জবাবঃ “ইন্নী আমাংতু বি রব্বিকুম ফাহ্
মায়ূন” সর্বদা পাঠ করিলে কবরের ছওয়াল জবাব সহজ
হয়। এরপর সকাল সন্ধ্যায় ৭ বার করিয়া পাঠ করিবে-
রাদিতু বিল্লাহি রব্বাও, ওয়া বিল্ ইসলামে দীনান্ ওবি
মুহাম্মাদান্ রসূলাও ওয়া নাবিয়্যা (সাঃ)”।
৩৮। এই দু'আ পড়িয়া মুর্দাকে কবরে রাখিবে-
বিস্‌মিল্লা-হি ওয়া’আলাাা মিল্লাতি রসুলিল্ল্যাহ্” ।
৩৯। কবরে মাটি দেওয়ার সময় পাঠ করিবে- “মিন্‌হা
খলাক্বনাাা-কুম্। ওয়া ফীহাাা নুয়ী'দুকুম্। ওয়া মিন্‌হা
নুখ্-রিজুকুম্ তারাতান্ উখ্-রঅ-”।
৪০। কবর জিয়ারতের দু'আ- “আচ্ছালামু আলাইকুম
ইয়া আহলাল্ কুবুরি ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া-লাকুম ও
আংতুম ছলাফুনা ও নাহ্-নু বিল্ আছরি” ।
৪১। জানাযার দু'আ- “আল্ল-হুম্মাগ্ ফিরলি হাইয়িনা
ওয়া মাই:য়িতিনাাা ওয়া শাাাহিদিনাাা ওয়া ঘ-ইবিনাা,
ছগীরিনাাা ওয়া কাবীরিনাাা ওয়া যাকারিনাাা ওয়া উৎছানা।
আল্ল-হুম্মা মান্ আহঃইঃয়াই:তাহু মিন্নাাা ফা আহ:ইহী
আ'লাল্ ইস্‌লাম। ওয়া মাং তাওয়াফ্ফাই; তাহু মিন্না
ফাতা ওয়াফ্ফাহূ আ'লাল্ ঈমাাা-ন্। বি রহঃমাতিকা ই:য়া
আরহামার র-হি:মী-ন্।
৪২। পরীক্ষা পাশের দু’আঃ “ওয়াল্লা-হুল মুস্তা ‘আনু
আলা মা-তাছিফুন্” ১০১ বার দৈনিক পাঠ করিলে
পরীক্ষা পাশ করা যায়।
৪৩। ভিক্ষা দেওয়ার সময় বলিবে “ফি-ছাবিলিল্লাহ্” ।
৪৪। “আন্নাফিউ” পাঠের আমল করিলে ব্যবসায়ে প্রচুর
লাভ ও ডাক্তারদের হাত যশ বৃদ্ধি পায় ।
৪৫। বর কনেকে- “বারাকাল্লাহু আলাই:কা” বলিয়া
দু'আ দিতে হয়।
৪৬। চেহারা নুরানী হওয়ার জন্য “ইন্নাহু হু:ওয়াল বার্-রুর রহী:ম্” প্রত্যেহ ১১ বার পড়িয়া হাতে ফুঁ দিয়া চেহারায় মাখিবে।
৪৭। ঈমান মজবুদ- “ইয়া মুকাল্লিবাল্ কুলূবি সাব্বিত
কল্লিব্‌ আলা দ্বীনিকা” পাঠের আমলে ঈমান দৃঢ় হয়।
আল্লাহ আমাদের সাবাইকে এই আমল গুলো করার তাওফিক দান করুন আমিন 



Post Tasgs: 
আরবী দোয়া সমূহ,
আল্লাহুম্মা দিয়ে সকল দোয়া,
শ্রেষ্ঠ দোয়া সমূহ,
নবীজির দোয়া সমূহ,
বিশেষ কিছু দোয়া,
প্রতিদিনের আমল ও দোয়া,
দৈনিক দোয়া সমূহ,
জরুরী দোয়া সমূহ,

Post a Comment

Previous Post Next Post